শসা খাবার নিয়ম ও উপকারিতা

 ভূমিকা 

শসা অত্যন্ত পরিচিত একটি ফল ও সবজি। এটি কাঁচা, সালাদ হিসেবে, বা রান্না করে খাওয়া যায়। কিন্তু এছাড়াও এর রয়েছে আরো বিভিন্ন ওষুধি এবং ভেষজ গুন। সারা বিশ্বে আবাদ হওয়া ফসলের মধ্যে ৪ নম্বরে আছে শসা। শসাকে ইংরেজিতে Cucumber বলা হয়। শসার বৈজ্ঞানিক নাম Cucumis sativus. আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় শসা খাবার নিয়ম ও উপকারিতা। 

আশা করি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আসুন দেরি না করে চলে যাওয়া যাক মূল আলোচনায়।

শসা খাবার নিয়ম 

শসা একটি বহুল প্রচলিত এবং বহুল ব্যাবহৃত খাবার । এটি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। শসা খাওয়া যায় কাঁচা, সালাদ হিসেবে, খোসা ছাড়িয়ে বা খোসাসহ এবং ্লবণ সহযোগে বা লবণ ছাড়া। এছাড়া শসা খাওয়া যায় তরকারিতে এবং শসা খাওয়া যায় আচার বানিয়ে (Pickled Cucumber) । এছাড়া আমাদের দেশে ফল হিসেবে, বা কোন বেলার নাস্তা হিসেবেও শসা খাওয়া হয়।

শসা খাবার উপকারিতা

শসা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি একটি ফল। শসাতে রয়েছে প্রায় ৯৪% পানি। এছাড়াও শসায়  রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আশ/ ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। নিম্নে শসার আরো কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ
১. ওজন কমাতেঃ
            শসাতে রয়েছে প্রচুর পানি ও ফাইবার এবং অত্যন্ত স্বল্প পরিমানে ক্যালোরি। তাই যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য শসা আদর্শ একটি খাবার। খাবারে প্রচুর শসা গ্রহন করলে তা ক্ষুধা কমায় এবং পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।
২. হজমে সহায়তা করেঃ
            শসায় থাকা প্রচুর পরিমানে পানি, ফাইবার ও ভিটামিন হজমে সহায়তা করে এবং পেট সুস্থ রাখে।
৩. হাড়ের সুস্থতায়ঃ
            শসাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম। ভিটামিন কে হাড় সুস্থ রাখে এবং খাদ্যের ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, ফলে হাড় সুস্থ ও সবল  থাকে।
৪. হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষায়ঃ
            শসাতে রয়েছে ম্যাগ্নেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন কে যা সুস্থ হৃদযন্ত্রের জন্য একান্ত আবশ্যক। এ উপাদান গুলি রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে এবং রক্তে খারাপ কলেস্টেরল কমিয়ে হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।
৫. শরীরের আর্দ্রতা রক্ষায়ঃ
            শরীরের আর্দ্রতা রক্ষায় শসার ভুমিকা অস্বীকার্য। শসার প্রায় ৯৫% ই পানি। ফলে নিয়মিত শসা খেলে তা শরীরের আর্দ্রতা রক্ষায় গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬. মানসিক চাপ কমায়ঃ
            শসাতে থাকা ভিটামিন বি১, বি২ ও বি৭ মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে।
৭. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য রক্ষায়ঃ
            শসাতে থাকা ভিটামিন বি, নায়াসিন, রিবোফ্লাভিন এবং জিংক ত্বকের ঔজ্জ্বল্য রক্ষা করে। এজন্য শসা নিয়মিত খাবার পাশাপাশি রূপচর্চায় বিভিন্ন ভাবে শসার ব্যাবহার করা যায়।
৮. হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায়ঃ
            শসাতে থাকা ফসফরাস মানব দেহের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় একান্ত প্রয়োজনীয়। তাই নিয়মিত শসা গ্রহণ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
৯. কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায়ঃ
        শসায় থাকা পানি, কিডনি এবং মূত্রনালীর স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১০. কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূরিকরনে শসাঃ
                শসায় থাকা পানি, ফাইবার এবং এরেপ্সিন নামক এনজাইম  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 

শেষ কথাঃ শসা খাবার নিয়ম ও উপকারিতা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ছিলো শসা খাবার নিয়ম ও উপকারিতা নিয়ে। তবে অতিরিক্ত শসা খাওয়া ভালো নয় এতে বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। আমাদের আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে শেয়ার করুন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট সেকশনে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪