মাশরুম । খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
মাশরুম এক প্রকার ছত্রাক। সাধারণত খাদ্যউপযোগী ছত্রাক মাশরুম নামে পরিচিত। সাধারণত ব্যাংগের ছাতা নামে দেখতে ছাতার মত আকৃতির মাশরুম হলেও বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে এ মাশরুম। আজকে আমাদের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু এই মাশরুম খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারীতা নিয়ে।।
এর জন্য আমাদের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে চলে যাই মূল আর্টিকেলে।
পোস্ট সূচিপ্ত্রঃ মাশরুম । খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
- মাশরুম খাবার নিয়ম
- মাশরুম খাবার উপকারিতা
- শেষ কথা
মাশরুম খাবার নিয়ম
মাশরুম বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়, রান্না করে, ভেজে, ফ্রাই করে। আবার অন্যান্য খাবার যেমন নুডুলস, স্যুপ বা সব্জির সাথেও মাশরুম খাওয়া যায়।
আবার শুধু মাশরুমের তরকারি বা চপ ইত্যাদি করেও খাওয়া যায়।
তবে মাশরুম খাবার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন অবশ্যই চাষের মাশরুম হয়। যেখানে সেখানে জন্মান মাশরুম খাওয়া যাবে না, কারন এ ধরনের মাশরুম বিষাক্ত হতে পারে।
মাশরুম খাবার উপকারিতা
মাশরুম কে বলা হয় পুষ্টীগুনের ভান্ডার। কারন এতে রয়েছে প্রোটিন, বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি। নিম্নে মাশরুমের উপকারিতা আলোচনা করা হলোঃ
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনেঃ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে মাশরুমের জুড়ি নেই। এতে রয়েছে বিভিন্ন এনজাইম যা রক্তের শর্করা কমাতে সহায়তা করে।
২. রক্ত শূন্যতা রোধেঃ
মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন এবং ফলিক এসিড, যা লোহিত রক্ত কনিকার পরিমান বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা রোধ করে।
৩. হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতেঃ
মাশরুমে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি, যা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে প্রয়োজন।
৪. হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ
মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে খাদ্য ফাইবার ও এনজাইম যা বিপাকিয় প্রক্রিয়া দ্রুত করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
মাশরুমে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারি এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সেলোনিয়াম এবং পলিফেনল। এগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করেঃ
মাশরুমে আছে অতি সামান্য কার্বোহাইড্রেট এবং উচ্চ মানের প্রোটিন এবং প্রচুর ফাইবার ফলে এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের জন্য এটি আদর্শ খাবার।
৭. ত্বকের উপকারেঃ
মাশরুমে আছে রিবোফ্লাভিন ও নিয়াসিন। ত্বক নরম ও উজ্জ্বল রাখতে এই দুটি উপাদানের তুলনা নেই।
৮. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনেঃ
মাশরুমে আছে কিটিন, ইরিডাটিন এবং এন্ডাটেডিন। এ উপাদান গুলি দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে হৃদপিন্ড সুস্থ রাখে।
শেষ কথাঃ মাশরুম । খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
আজকের আর্টিকেলের বিষয় ছিলো মাশরুম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা বিষয়ে। আশা করি আমাদের আর্টিকেল পুরোটা পড়ে এ বিষয়ে ধারনা পেয়েছেন। আর্টিকেল কেমন লাগলো তা জানান কমেন্ট সেকশনে। আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে দিন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url