লবঙ্গ । ব্যাবহার ও উপকারিতা

 পরিচিতি

লবঙ্গ প্রকার মসলা। তবে মসলা হলেও রান্না ছাড়াও এর বহুবিধ ব্যাবহার রয়েছে। লবঙ্গ ভিন্ন বানানে বা উচ্চারণে লং নামেও পরিচিত। ইংরেজীতে একে Clove বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium Aromaticumলবঙ্গ গাছের ফুলের কুঁড়িকে শুকিয়ে মসলা হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। FAO এর তথ্য অনুসারে ইন্দোনেশিয়াতে পৃথিবীর শতকরা ৮০ ভাগ লবঙ্গ উৎপাদিত হয়।

তবে ভারত এবং শ্রীলংকাতেও প্রচুর লবঙ্গ উৎপাদিত হয়। আজকে আমাদের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় লবঙ্গ এর ব্যাবহার ও উপকারিতা নিয়ে। তাহলে চলুন চলে মূল পোস্টে।

লবঙ্গ এর ব্যাবহার

লবঙ্গ এর মূল ব্যাবহার রান্নায় মসলা হিসেবে। মাছ এবং মাংস রান্নায় মসলা হিসেবে এবং গরম মসলার উপাদান হিসেবে এর ব্যাবহার অনস্বীকার্য । তবে মসলা হিসেবে ব্যাবহার ছাড়াও লবঙ্গএর রয়েছে বিভিন্ন ভেষজ গুনাবলি। লবঙ্গতে উপস্থিত বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান সমুহ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সহ বিভিন্ন মতে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে ব্যাবহার করা হয়।

লবঙ্গ এর উপকারিতা

১. কাশির উপশমেঃ
        ঠান্ডা জনিত কাশি বা খুশখুশে কাশি এবং সর্দিজনিত কারনে কাশির উপশমে লবঙ্গ অসাধারণ কাজে দেয়। লবঙ্গ সরাসরি চিবিয়ে খেলে বা থেতোঁ করে খেলে কাজে দেয়।
২. লিভার এর স্বাস্থ্য রক্ষায়ঃ
        লবঙ্গ লিভারে নতুন কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে এবং লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ
        লবঙ্গতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হজমে সহায়তা করে এবং পেটকে জিবাণুমুক্ত রাখে ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪.বমিরোধকঃ
        বাস বা ট্রেনে যাত্রাকালে অনেকের বমিভাব হয়। লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে এ ধরনের বমিভাব দূর হয়। এছাড়া গর্ভবতী নারীদের সকালে হওয়া মর্নিং সিকনেস দূর করতেও লবঙ্গ এর জুরি নেই।
৫. মাথা ব্যাথা উপশমেঃ
        মাথা ব্যাথা উপশমে লবঙ্গ পিষে নিয়ে কপালে লাগালে আরাম পাওয়া যায়। অথবা সরাসরি লবঙ্গের তেল ব্যাবহার করা যায়। এই গুনের কারনে আধুনিক সব ব্যাথানাশক মলমে লবঙ্গের তেল বা নির্যাস ব্যাবহার হয়।
৬.হাড় শক্ত করেঃ
        লবঙ্গে উপস্থিত ইউজেনিল নামক উপাদান হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। ফলে হাড় শক্ত হয় এবং ভংগুরতা হ্রাস পায়।
৭.ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ
            লবঙ্গে থাকা ইউজেনিল সহ এন্টি-অক্সিডেন্ট মানব শরীরে প্রোস্টেট ক্যান্সার সহ অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৮. যৌন সমস্যা সমাধানেঃ
            লবঙ্গে থাকা বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যাল যেমন, ফ্ল্যাভনয়েড, এল্কালয়েড ইত্যাদি শরীরে টেস্টোস্টেরন সহ বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে যৌন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে।

শেষ কথাঃ লবঙ্গ ব্যাবহার ও উপকারিতা

আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়বস্তু ছিলো লবঙ্গের ব্যাবহার ও উপকারিতা নিয়ে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে লবঙ্গ একটি শক্তিশালী ভেষজ।  এর ব্যাবহার বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে সতর্কতার সাথে করা উচিৎ। নাহলে তা ক্ষতির কারন হতে পারে। যদি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে শেয়ার করুন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪