কুসুম্বা মসজিদ । কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত

পরিচিতিঃ কুসুম্বা মসজিদ

 বাংলাদেশে সুলতানি আমলের অন্যতম এক নিদর্শন হচ্ছে কুসুম্বা মসজিদ। বাংলাদেশের পাঁচ টাকার নোটে এই মসজিদের ছবি দেখা যায়। প্রাচীন এই স্থাপনা নিয়ে আজকের আমাদের আয়োজন। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানব কুসুম্বা মসজিদ কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত।

সেই সাথে জানব কুসুম্বা মসজিদ এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যাই মূল পোস্টে। 

কুসুম্বা মসজিদ কোথায় অবস্থিত

কুসুম্বা মসজিদ বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিম দিকে আত্রাই নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। 

কুসুম্বা মসজিদের ইতিহাস

কুসুম্বা মসজিদ এর প্রবেশপথে বসানো শিলালিপি অনুযায়ি ৯৬৬ হিজরি মোতাবেক ১৫৫৮-১৫৫৯ সালে এর নির্মাণ। আফগানি শুর বংশীয় শাসক গিয়াসুদ্দীন বাহাদুর শাহ এর শাসনামলে সোলায়মান নামক একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম কর্তৃক কুসুম্বা মসজিদ নির্মিত।
১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে  মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
২০১৭ সালে মসজিদে বাগান তৈরী সহ বেশ কিছু সংস্কার করা হয়।
বর্তমানে কুসুম্বা মসজিদ প্রত্নতত্ব বিভাগের অধীনে একতি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি।

কুসুম্বা মসজিদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

কুসুম্বা মসজিদ আয়তাকার, দৈর্ঘ্য ৫৮ ফুট এবং প্রস্থ ৪২ ফুট। ২ সারিতে তিনটি করে মোট ছয়টি গম্বুজ রয়েছে।ভেতরে রয়েছে দুটি স্তম্ভ। গম্বুজগুলি এই দুটি স্তম্ভ এবং দেয়ালের উপর ভর করে আছে। মসজিদের পূর্বদিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিনে একটি করে প্রবেশপথ রয়েছে।
 মসজিদের ভেতরে রয়েছে মোট তিনটি মেহরাব। এছাড়া উত্তর-পশ্চিম কোনে রয়েছে একটি পাথরের তৈরী উঁচু সিড়িযুক্ত  বেদি। ধারনা করা হয় এই অংশে বসে তৎকালীন বিচারক বা কাজি বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।
মসজিদের চার কোনে চারটি অষ্টকোন বিশিষ্ট টারেট (Turret) বা বুরুজ রয়েছে। মসজিদের দেয়ালগুলি ইটের তৈরী হলেও ভেতরে এবং বাইরে পাথর দ্বারা আবৃত। 

কুসুম্বা মসজিদ কেন বিখ্যাত

কুসুম্বা মসজিদ বাংলাদেশের সুলতানি আমলের ঐতিহাসিক মসজিদ্গুলোর মধ্যে একটি। এটি বিখ্যাত এর স্তম্ভ এবং মেহরাবের পাথরে খচিত থাকা ঝুলন্ত ঘন্টা, আংগুর, লতাপাতা ইত্যাদির সুদৃশ্য নক্সা এবং এর বিশাল দিঘির জন্য।
কুসুম্বা দিঘীঃ
        কুসুম্বা মসজিদএর উত্তর দিকে রয়েছে বিশাল এক দিঘী। এর নাম কুসুম্বা দিঘী। এর আয়তন প্রায় ২৫ একর। ১২০০ ফুট দীর্ঘ এবং ৯০০ ফুট চওড়া দিঘীটি গ্রামবাসির পানির চাহিদা পূরনে এবং মুসল্লিদের ওজু-গোসলের সুবিধার্তে খনন করা হয়েছিল। কুসুম্বা মসজিদের সামনের উঠোন থেকে বাধান সিঁড়ি নেমে গেছে দিঘীর নিচে পর্যন্ত।

সবশেষেঃ কুসুম্বা মসজিদ । কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত

আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য সূচি ছিলো কুসুম্বা মসজিদ  কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে শেয়ার করুন ফেসবুক সহ আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট সেকশনে।
        

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪