এলাচ । ব্যাবহার ও উপকারিতা

 এলাচ বহুল ব্যাবহৃত একটি মসলা। ভিন্ন বানানে এলাচি নামেও খ্যাত। ইংরেজীতে একে Cardamom বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Elettaria cardamomum. এলাচ দুই ধরনের হয়, বড় এলাচ বা কালো এলাচ এবং ছোট এলাচ বা সাদা/সবুজ এলাচ। আমাদের আজকের আলোচনা ছোট বা সবুজ এলাচ নিয়ে।

কেবল রান্নাতেই নয় এর রয়েছে আরো বহুবিধ ব্যাবহার। এসব ব্যাবহার নিয়েই আমাদের আজকের পোস্টের আয়োজন। তাহলে চলুন চলে যাওয়া যাক মূল পোস্টে।

এলাচ এর ব্যাবহার

১. মসলাঃ 
এলাচের সর্বজন স্বীকৃত ব্যাবহার হচ্ছে মসলা হিসেবে। আমিষ, নিরামিষ সবধরনের  খাবার রান্নায় মসলা হিসেবে এলাচের ব্যাবহার আছে। এটি ছাড়া উপমাহাদেশিয় খাবার রান্না অসম্পূর্ন। 
২.ওষুধ হিসেবেঃ
    এলাচের রয়েছে বেশ কিছু ওষুধি গুন। ওষুধ হিসেবে অন্যান্য ভেষজের সাথে এটি ব্যাবহার করা যায়।
৩. খাদ্য হিসেবেঃ
     মসলা হিসেবে বা ওষুধ হিসেবে ব্যাবহার করা ছাড়াও এলাচ সরাসরি খাদ্য হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।

এলাচ এর উপকারিতা

১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ 
            এলাচ হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এতে বিদ্যমান । এতে থাকা  এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমুহ হজম বৃদ্ধি করে।
২.শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করেঃ 
            এলাচে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্টসমুহ শরীরে বিদ্যমান বিষাক্ত উপাদান সমুহ বের করে দিতে সহায়তা করে।
৩.অনিদ্রা দূর করতেঃ
            যাদের অনিদ্রা জনিত সমস্যা আছে, তারা এলাচ ব্যাবহার করে সুফল পেতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে গরম পানি দিয়ে এলাচ খেলে ঘুম ভাল হবে এবং অনিদ্রা দূর হবে।
৪.মাথা ব্যাথা দূর করতেঃ
        মাথা ব্যাথা দূর করতে চা এর সাথে এলাচ গুড়া, মধু মিশিয়ে খেলে মাথা ব্যাথা এবং সর্দি-কাশিজনিত সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনেঃ
            এলাচ এ রয়েছে রক্তের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রনকারি উপাদান, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। এছাড়া এলাচ হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রন করে ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
৬. মুখের দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রনেঃ
            এলাচ মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারি জীবানু ধ্বংস করে, এবং প্রদাহ নাশ করে। তাই মুখের দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রনে এলাচ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। 
৭. বমি ভাব দূর করেঃ
            এলাচ পেটের এসিডিটি দূর করে, বুক জ্বালা-পোড়া কমায় এবং বমি ভাব দূর করে। 
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ঃ 
            কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এলাচ দারুন উপকারি। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এলাচ, বেল এবং দুধ পানি সহ গরম করতে হবে। দুধ ঘন হয়ে এলে তা ঠান্ডা করে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
৯. মুখের ব্রণ দূর করতেঃ
            এলাচের গূড়ার সাথে মধু মিশিয়ে ব্রণের উপর লাগালে  এলাচের এন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুনের কারনে ব্রণ ভাল হয়।
১০. পেশিতে টান ধরার উপশমেঃ
                পেশিতে টান ধরা সারাতে এলাচ গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে পেশিতে টান ধরার সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।

শেষ কথাঃ এলাচ । ব্যাবহার ও উপকারিতা

আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়বস্তু ছিলো এলাচ এর ব্যাবহার ও উপকারিতা নিয়ে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে শেয়ার করুন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আরও নতুন কি বিষয়ে পোস্ট চান তা জানান কমেন্ট সেকশনে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪