কান পাকা । কারন ও প্রতিকার

পরিচিতিঃ কান পাকা । কারন ও প্রতিকার

 মানবদেহের অন্যতম গুরুত্ব পুর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কান। এর কাজ হচ্ছে শ্রবণ অনুভুতির পাশাপাশি শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করা। আর এই কানের অন্যতম একটি অসুখ হচ্ছে কান পাকা।  কানের তিনটি অংশ রয়েছে বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ এবং অন্তঃকর্ণ। কান পাকা বলতে এই মধ্যকর্নের সংক্রমণকে বুঝায়। 

এ রোগের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে কানে ব্যাথা, কান দিয়ে পানি পরা, পুঁজ বা রক্ত আসা। আজ আমাদের পোস্টের মূল আলোচ্য বিষয় কান পাকা এবং এর কারন এবং প্রতিকার।

কান পাকার কারন

কান পাকার অনেক কারন রয়েছে তার কিছু নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
১. কানে পানি প্রবেশঃ
        গোসল বা সাতার কাটার সময় কানে যদি পানি প্রবেশ করে তবে তা থেকে মধ্যকর্নে সংক্রমণ বা কান পাকা হতে পারে।
২. কানে ছত্রাক বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণঃ
            কানের ভেতরে ছত্রাক বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এর ফলে কান পাকা হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক বা ব্যাক্টেরিয়া এ ধরনের সংক্রমনের জন্য দায়ি।
৩. কানে আঘাতঃ
        কানে কোন ধরনের আঘাত বা ক্ষত হলে সেখান থেকে কান পাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. ছোট বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতির ভুলেঃ
        কানের ভেতরে এক্তি নালি থাকে যার নাম ইউস্টেশিয়ান নালি, যা কান ও গলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। ছোট বাচ্চাদের এই নালিটা হয় চিকন এবং সোজা, ফলে বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় যদি পুরোপুরি চিত করে খাওয়ানো হয় তবে দুধ কানে চলে যেতে পারে। এ থেকে কানে সংক্রমণ বা কান পাকা দেখা দিতে পারে।

কান পাকার প্রতিকার

কান পাকা প্রতিরোধের জন্য নিম্ন লিখিত পদক্ষেপগুলি নেয়া যেতে পারেঃ
১. কান শুকনো রাখাঃ
        কান পাকা প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন কানে পানি প্রবেশ না করে। আর যদি কান পাকার সমস্যা হয়েই থাকে তাহলে অবশ্যই কান শুকন রাখতে হবে। গোসল বা সাতারের সময় কানে ইয়ার প্লাগ বা তেলে ভেজানো তুলো কানে দিয়ে রাখতে হবে।
২. কানে কোন কিছু না দেওয়াঃ
        কানে কাঠি, পালক, কটন বাড বা অন্য কিছু দিয়ে খোচাখুচি করা বা চুল্কানো উচিৎ নয়। এতে কানের ভেতরে ক্ষত এবং তা থেকে কান পাকা হতে পারে।
৩.ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করাঃ
        দীর্ঘমেয়াদি ঠান্ডা লাগা বা  বারবার ঠান্ডা লাগা থেকে কান পাকা হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে যেন ঠান্ডা না লেগে যায়।
৪. কানের পর্দা মেরামতঃ
        কান পাকার সমস্যা যদি কানের পর্দা ফাটার কারনে হয়ে থাকে তবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি ওষুধ সেবন করতে হবে এবং প্রয়োজনে অপারেশন করে কানের পর্দা মেরামত করতে হবে।
৫. বাচ্চাদের সঠিক নিয়মে দুধ খাওয়ানোঃ
            বাচ্চাদের কান পাকার অন্যতম কারন সঠিক নিয়মে দুধ না খাওয়ানো। সম্ভব হলে ফিডার ছাড়া দুধ খাওয়াতে হবে। আর না শুইয়ে কোলে নিয়ে খাওয়াতে হবে।

শেষ কথা । কান পাকা । কারন ও প্রতিকার

কান পাকা খুব সাধারণ একটি রোগ। তবে সময়মতো এবং সঠিকভাবে এর চিকিৎসা না হলে এটি বেশ ক্ষতির কারন হতে পারে। এমনকি কান পাকা থেকে শরীরের ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়া, শ্রবনশক্তি হ্রাস পাওয়া সহ মস্তিষ্কে সংক্রমন এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তাই আমদের সবার কান পাকার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিৎ। আমাদের আজকের পোস্টের আলোচ্য সুচি ছিল কান পাকা এবং কারন ও প্রতিকার নিয়ে। আশা করি আমাদের আজকের পোস্ট পড়ে এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করুন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪