আতিয়া মসজিদ কোথায় অবস্থিত । কেন বিখ্যাত

পরিচিতিঃ আতিয়া মসজিদ

  বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর ও প্রাচীন এক মসজিদের নাম আতিয়া মসজিদ। ৪০০ বছরেরও বেশি বয়স এই মসজিদটির। আমরা আজকের আর্টিকেলে জানতে চলেছি এই মসজিদ এর ইতিহাস, কোথায় অবস্থিত নামকরণ ইত্যাদি নিয়ে। 

তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই আতিয়া মসজিদ সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আতিয়া মসজিদ কোথায় অবস্থিত

  • ভূমিকা
  • আতিয়া মসজিদের নামকরণ
  • আতিয়া মসজিদ কোথায় অবস্থিত
  • আতিয়া মসজিদ কেন বিখ্যাত
  • আতিয়া মসজিদ এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ
  • আতিয়া মসজিদ এর ইতিহাস
  • শেষ কথা

আতিয়া মসজিদের নামকরণ 

আতিয়া মসজিদ এর নাম এর সংলগ্ন আতিয়া গ্রাম থেকে হয়েছে। আরবি "আতা" শব্দ থেকে আতিয়া শব্দের উৎপত্তি। এ শব্দের অর্থ "দান কৃত"। বাবা আদম কাশ্মিরি (র.) কে সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ এ অঞ্চলের জায়গিরদার প্রদান করেন এবং পরবর্তিতে আফগান কররানি শাসক সোলায়মান কররানির কাছ থেকে ইসলাম প্রচারের স্বার্থে এবং আনুষংগিক ব্যয় নির্বাহের জন্য এ অঞ্চল দান বা ওয়াকফ হিসেবে প্রাপ্ত হন। এই দান থেকে অঞ্চলের এবং এ মসজিদের নাম হয়েছে আতিয়া মসজিদ।

আতিয়া মসজিদ কোথায় অবস্থিত

আতিয়া মসজিদ বাংলাদেশের টাংগাইল জেলার জেলা সদর থেকে ৬ কি.মি. দক্ষিণে দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া গ্রামে লৌহজং নদীর পূর্ব পারে অবস্থিত। 

আতিয়া মসজিদ কেন বিখ্যাত

পোড়ামাটির ইটে তৈরী এ মসজিদ বিখ্যাত তার অনন্য স্থাপত্যশৈলী, নক্সা এবং কারুকার্জ খচিত দেয়ালের জন্য। বাংলাদেশের কুঁড়েঘরের আদলে বক্রাকৃতির কার্ণীশ এর সৌন্দর্যে যোগ করেছে অনন্য মাত্রা।  ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে প্রচলিত ১০ টাকার নোটে এ মসজিদের ছবি প্রকাশিত হলে আতিয়া মসজিদ আরো বিখ্যাত হয়ে যায়।

আতিয়া মসজিদ এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ

আতিয়া মসজিদটি লাল ইটের তৈরী। এর দৈর্ঘ্য ৫৯ ফুট এবং প্রস্থ ৪০ ফুট। দেয়াল প্রায় ৭.৫ ফুট চওড়া। চার কোনায় রয়েছে চারটি মিনার। অষ্টভুজাকৃতি মিনারের শীর্ষদেশ ছোট গম্বুজের ন্যায়। ভেতরে পশ্চিম দিকে তিনটি সুদৃশ্য অলংকরন বিশিষ্ট মেহরাব রয়েছে।

আতিয়া মসজিদ এর ইতিহাস

আলি শাহান শাহ্বাবা আদম কাশ্মিরী (.) নামক একজন ধর্মপ্রচারককে সুলতান আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ টাঙ্গাইল জেলার জায়গিরদার নিয়োগ দান করলে তিনি এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তিতে কররানি শাসক  সোলায়মান কররানির কাছ থেকে ইসলাম প্রচারের স্বার্থে এবং আনুষংগিক ব্যয় নির্বাহের জন্য এ অঞ্চল দান বা ওয়াকফ হিসেবে প্রাপ্ত হন।
পরবর্তিতে বাবা আদম কাশ্মিরী (.) এর স্থলে সাঈদ খান পন্নী সে এলাকার জায়গিরদার নিযুক্ত হন। 
১৬০৮ সালে সাঈদ খান পন্নী বাবা আদম কাশ্মিরী (.) এর কবরের নিকট আতিয়া মসজিদ নির্মান করেন।
১৮০০ সালে ভুমিকম্পে আতিয়া মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
১৮৩৭ সালে রওশন খাতুন চৌধুরানি মসজিদটি সংস্কার করেন।
১৯০৯ সালে আবুল আহমেদ খান মসজিদটির আরো কিছু সংস্কার করেন।
বর্তমানে আতিয়া মসজিদ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি।

শেষ কথা ঃ আতিয়া মসজিদ

আজকে আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো আতিয়া মসজিদ কোথায় অবস্থিত এবং কেন বিখ্যাত। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন । আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করুন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ত সেকশনে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪