আইয়ামে বীজ। কি, কখন পালন করতে হয়, পালনের নিয়ম

 আইয়ামে বীজ দুটি আরবি শব্দের মিলিত রূপ। আইয়াম যা 'ইয়াওম' শব্দের বহুবচন এর অর্থ দিবস সমূহ। এবং 'বীজ' শব্দের অর্থ সাদা, শুভ্র বা উজ্জ্বল। আইয়ামে বীজ শব্দগুচ্ছ দ্বারা চান্দ্র মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখকে বোঝানো হয়, কারন এ দিনগুলিতে চাঁদ সর্বোচ্চ উজ্জ্বল বা পুর্ণিমা অবস্থায় থাকে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) এর এর অন্যতম একটি  সুন্নত হচ্ছে আইয়ামে বীজ এর রোজা পালন করা। ভিন্ন নামে একে "আইয়ামুল গুর" বা 'আলোকিত দিন' ও বলা হয়ে থাকে।

আইয়ামে বীজ কখন পালন করতে হয়। পালনের নিয়ম

রাসুলুল্লাহ (সা.)  প্রতি মাসের ১৩,১৪ এবং ১৫ তারিখে আইয়ামে বীজ এর রোজা রেখেছেন এবং সাহাবিদের রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন হাদিসে এ বিষয়ে বর্ণনা আছে।
হযরত আবু জর গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে,রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে হযরত আবু জর, তুমি মাসের মধ্যে ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোজা রাখবে"।  (তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত)
আরও পড়ুনঃ
ইবনে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত," রাসুলুল্লাহ (সা.) আইয়ামে বীজ তথা চাঁদের ১৩,১৪, ১৫ তারিখে রোজা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।"
তবে এই তারিখগুলিতে রাখা সম্ভব না হলে মাসের যেকোন তারিখে রাখা যাবে।  আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে আয়েশা [রাঃ]-এর কাছে জানতে চাওয়া যে, রাসূল [সাঃ] কি প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম পালন করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করলাম, মাসের কোন কোন দিন তিনি সিয়াম পালন করতেন? তিনি বললেন, রাসূল [সাঃ] মাসের যে কোন দিন সিয়াম পালন করতে দ্বিধা করতেন না (মুসলিম হা/২৮০১; মিশকাত হা/২০৪৬)
আরও পড়ুনঃ
আইয়ামে বীজের ফজিলত সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনে মর ইবনে (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, "রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা পালন, সারা বছর ধরে রোজা পালনের সমান (বুখারি শরীফ)"
আরও পড়ুনঃ
এছারা আরেকটি হাদিসে এভাবে বলা হয়েছে, "হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রা.) প্রতিদিন রোজা রাখতেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে প্রতিদিন রোজা রাখতে নিষেধ করেন এবং উপদেশ দেন এভাবেহে আবদুল্লাহ! আমি সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন রোজা রাখো এবং সারা রাত নামাজ আদায় করে থাক। আমি বললাম, ঠিক শুনেছেন হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন- এরূপ করবে না বরং মাঝে মাঝে রোজা রাখো আবার ছেড়েও দাও। রাতে নামাজ আদায় করো আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের অধিকার  রয়েছে, তোমার চোখের অধিকার রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর অধিকার আছে, তোমার মেহমানের অধিকার আছে। বরং তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। কেননা নেক আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকি। এভাবে সারা বছরের রোজা পালন হয়ে যায়।’ (বুখারি)"
আরও পড়ুনঃ
জিলহজ্জ্ব মাসের ১০ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা হারাম। তাই এ সময় আইয়ামে বিজ সহ কোন ধরনের নফল রজা পালন করা যাবে না। 

শেষ কথা ঃ আইয়ামে বীজ। কি, কখন পালন করতে হয়, পালনের  নিয়ম

আমাদের আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় ছিলো আইয়ামে বীজ কি, কখন পালন করতে হয়, পালনের  নিয়ম এসব নিয়ে। আশা করি পুরো পোস্ট পড়ে এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। যদি পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর এ ধরনের পোস্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪