রূপচর্চায় চন্দন। ব্যবহারবিধি ও উপকারিতা

ভূমিকাঃ রূপচর্চায় চন্দন। ব্যবহারবিধি ও উপকারিতা

  নিখুঁত, সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়? আর এই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে বহু যুগ ধরে নানাভাবে চন্দন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রূপচর্চায় চন্দন ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। এর ঔষধি গুণাগুণ ত্বককে রাখে কোমল ও সুন্দর। পাশাপাশি ব্রণ, রোদে পোড়া দাগ এবং বলিরেখাও দুর করে চন্দন।

 এই চন্দনের রয়েছে অসংখ্য গুনাগুন। রূপচর্চার জন্য চন্দনের খ্যাতি বহু কাল ধরে।
আসুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে চন্দন ব্যবহারের কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি এবং এর উপকারিতাঃ

চন্দন কি?

রূপচর্চায় চন্দনের ব্যাবহার জানার আগে চলুন জেনে নেই চন্দন কি?  দুই প্রকার চন্দনএর অস্তিত্ব পাওয়া যায় শ্বেত চন্দন ও রক্ত চন্দন। শ্বেত চন্দন (ইংরেজিIndian Sandalwood বা Sandalwood বা Sandal),  (বৈজ্ঞানিক নামSantalum album) হচ্ছে Santalasi পরিবারের একটি উদ্ভিদ। চন্দন বিশ্বের সবচেয়ে দামি কাঠ গুলোর মধ্যে একটি। 
এক কেজি চন্দন কাঠের দাম ২০০ ডলারেরও বেশি হতে পারে। তবে একে তেলে বা সুগন্ধিতে রূপান্তরিত করলে এরদাম আরো অনেক বেশি পরিমানে বৃদ্ধি পায়।

চন্দনের ব্যাবহারবিধি

ত্বকের উপর নির্ভর করে চন্দনের ব্যাবহারবিধি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারেঃ এগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ শুষ্ক ত্বকে চন্দনের ব্যাবহারবিধি

শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রয়োজন বাড়তি ময়েশ্চারাইজার। শুধু চন্দন ত্বককে শুষ্ক করে ফেলতে পারে। এজন্য চন্দনের সাথে দুধ ও মধু ব্যাবহার করা যেতে পারে। দুধে থাকা ল্যাক্টোজেন এবং মধুর এন্টিবায়োটিক গুনাগুন চন্দনের উপকারিতা বাড়িয়ে দেবে বহুগুন। চন্দনের সাথে দুধ ও মধুর মিশ্রণ করে মুখ, হাত এবং পায়ে ব্যাবহার করা যায়। এছাড়া কয়েক ফোটা নারিকেল তেলের সঙ্গে চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যাবহার করা যায়। শুষ্ক ত্বকে এই পেস্টটি আর্দ্রতা প্রদান করবে। মুখের ত্বকে এই মিশ্রণটির প্রলেপ দিয়ে ১৫ মিনিট  রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বকে চন্দনের ব্যাবহারবিধিঃ

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চন্দনের সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যাবহার করা যায়। এই মিশ্রণ ত্বককে গভীরভাবে পরিস্কার করতে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।
 তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লেবুর রসের সাথে  চন্দন গুঁড়ো মিশ্রিত করে ব্যবহার করতে হবে। লেবুর রস ও চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখের ত্বকে মালিশ করে ৮-১০ মিনিট রাখতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিবেন। এতে ত্বকের  তৈলাক্ততা ভাব অনেকখানি কমে যাবে।

সংবেদনশীল ত্বকে চন্দনের ব্যাবহারবিধিঃ

সংবেদশীল ত্বকে যেকোন কিছু ব্যাবহার করার আগে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সংবেদশীল ত্বকে চন্দনের সাথে টক দই ব্যাবহার করা যায়। 

আরও পড়ুনঃ বৈঠক শেষে দোয়া 

চন্দনের উপকারিতা
অসংখ্য উপকারিতা আছে চন্দনের। জেনে নেওয়া যাক নিচের অংশে:

১.ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২.ত্বকের ক্লান্তিভাব দূর করে।
৩.ব্রণ বা ত্বকের দাগ দূর করে।
৪. ত্বকের ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সাহায্য করে।
৫. চন্দনের সঠিক ব্যবহার ত্বকে আনে কোমলতা ।
৬. বয়সের কারণে যাদের ত্বক ঝুলে গেছে, চন্দন তাদের জন্য বেশ উপকারী। কারণ, চন্দন ত্বককে টানটান রাখতে এবং বলিরেখা কমাতে সহায়তা করে।

শেষ কথাঃ রূপচর্চায় চন্দন। ব্যবহারবিধি ও উপকারিতা

তবে চন্দনের ব্যাবহার থেকে সঠিক ফল পেতে হলে অবশ্যই সঠিক উপায়ে চন্দনের ব্যাবহার করা প্রয়োজন। এজন্য আপনার বিউটিশিয়ান বা বিশেষজ্ঞের মতামত গ্রহণ করুন। আমাদের আজকের পোস্টের আলোচ্য সুচি ছিল রূপচর্চায় চন্দন। ব্যবহারবিধি ও উপকারিতা। আশা করি আমাদের আজকের পোস্ট পড়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করুন আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট সেকশনে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪