ফোড়া হলে কি করনীয় - বিষ ফোড়া হলে কি করনীয়

আপনি কি ফোড়া হলে কি করনীয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে ফোড়া হলে কি করনীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফোড়া হলে কি করনীয় সে সম্পর্কে জেনে নিন।
ফোড়া হলে কি করনীয়
নিচে আপনাদের জন্য লোম ফোড়া হলে কি করতে হবে, ফোড়া হলে কি ঔষধ খাবো এবং ফোড়া হলে কি করনীয় ইত্যাদি বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে খুব সহজেই ফোড়া হলে কি করনীয় তা জেনে নিতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়ুন এবং ফোড়া হলে কি করনীয় তা জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ ফোড়া হলে কি করনীয় - বিষ ফোড়া হলে কি করনীয়

লোম ফোড়া হলে কি করতে হবে

ত্বকের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে লোম ফোড়া। লোম ফোড়া সংক্রমণে প্রথমে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং সেখানে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরবর্তীতে এই ফুসকুড়ি আস্তে আস্তে বড় এবং সাদা হতে থাকে যা অনেক কষ্টদায়ক হয়। এখন আপনাদের যে বিষয়ে জানানো হবে তা হচ্ছে লোম ফোড়া হলে কি করতে হবে সে সম্পর্কে। 
  • রসুনের পেস্ট বানিয়ে দুই তিন দিন লোম ফোড়ার উপরে লাগান।
  • যেখানে লোম ফোড়া হয়েছে সেখানে প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
  • আটার রুটি তৈরি করে দুধ বা জলে ভিজিয়ে তারপর আর উপর লাগিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার করে ফেলুন।
  • কালোজিরা হচ্ছে সকল রোগের ঔষধ। তাই কালোজিরা বেটে লোম ফোড়ার উপরে লাগিয়ে রাখুন। এমনকি আপনি কালোজিরা দুধ বা মধুর সাথে খেতে পারেন।
  • চা পাতার তেল জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। তাই সম্ভব হলে চা পাতার তেল লোম ফোড়া জায়গায় লাগিয়ে রাখবেন।
  • একটি পেঁয়াজ কেটে তা লোম ফোড়ার উপরে রেখে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন এবং পরে পরিষ্কার করে ফেলুন। 
উপরে উল্লিখিত পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করে আপনি লোম ফোড়া ভালো করতে পারবেন। আশা করি লোম ফোড়া হলে কি করতে হবে তা জানতে পেরেছেন।

ফোড়া হলে কি ঔষধ খাবো

ফোড়া হচ্ছে এক ধরনের ত্বকের সংক্রমণজনিত সমস্যা। এ সমস্যাটি অনেকেরই দেখা যায়। ফোড়া হলে অনেকে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে যে ফোড়া হলে কি ঔষধ খাবো। ফোড়া হলে কি ঔষধ খাবো তা নিয়ে আর দুশ্চিন্তা নেই। আসলে ত্বকে ফোড়া হলে কোন ঔষধ না খেলেও চলে। আপনি এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো করতে পারবেন। তবে এই ফোড়া যদি অনেক যন্ত্রণাদায়ক হয় তাহলে আপনি ব্যথার যে কোন ঔষধ খাবেন। তবে যে কোন ঔষধ খাবার পূর্বে আপনি অবশ্যই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

ফোড়া হলে কি করনীয়

ওরা হচ্ছে এক ধরনের সংক্রমণজনিত ত্বকের সমস্যা। ফোড়া রোগটি প্রায় অনেকেরই মাঝে মাঝে দেখা দেয়। ফোড়া হলে সেখানে অনেক ব্যথার সৃষ্টি হয়। তবে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। ফোড়া হলে আপনার কিছু করণীয় রয়েছে যেগুলো আপনি সঠিকভাবে পালন করলে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ফোড়া হলে কি করনীয় -
  • সর্বপ্রথম যেটি করবেন তা হচ্ছে জীবাণু নাশক সাবান দিয়ে ফোড়া স্থানটি পরিষ্কার করুন।
  • একটি পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা ফোড়ার উপরে ধরলে ফোড়াটি গলে যেতে পারে।
  • ডাক্তারের পরামর্শে জীবাণুনাশক মলম ফোড়ার উপর বা চার পাশে লাগিয়ে দিন।
  • জোর করে নিজে নিজে ফোড়াটি গেলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এটা না করে অপেক্ষা করুন এবং সেখানকার জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। দুই এক সপ্তাহ পর ফোড়াটি নিজে থেকেই গলে যাবে এবং ঠিক হয়ে যাবে।
  • খালি হাতে ফোড়া স্থানে স্পর্শ করবেন না এতে আপনার হাতের জীবাণু আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
উল্লিখিত করণীয় গুলো ফলো করলে আপনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন বলে আশা করা যায়।

বিষ ফোড়া হলে কি করনীয়

ফোড়া বিষফোঁড়া এগুলো সবকিছু একই। অর্থাৎ ফোড়া হলেও আপনার যেসব করণীয় বিষফোঁড়া হলেও করণীয় গুলো ঠিক একই। অর্থাৎ আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যে জায়গায় বিষফোঁড়া হবে সেখানে সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এবং উপরে উল্লেখিত করণীয় গুলো আপনাকে পালন করতে হবে। তাহলে আপনি দ্রুত বিষফোঁড়া থেকে মুক্তি পাবেন।

ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট

ফোড়া হলে মানুষ ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট গ্রহণের জন্য মেতে থাকে। তবে ফোড়া হলে ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট না খাওয়াই উত্তম। যদি না কোন বড় ধরনের সমস্যা না হয়। কেননা ফোড়া বের হলে তা এক সপ্তাহ পর এমনি এমনি পেকে পুজ বের হয়ে যায় এবং ভালো হয়ে যায়। ট্যাবলেট খেলে সেখানে দেখা যেতে পারে শরীরের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। তবে পোড়া পাকানোর ট্যাবলেট গ্রহণ করতে চাইলে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন। এরকম কিছু ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলো ফোড়া রোগে ব্যবহৃত হয় যেমনঃ Belladonna, Hepar sulphur ইত্যাদি।

নাকে ফোড়া হলে করনীয়

এখন আপনাদের নাকে ফোড়া হলে করনীয় কি সে সম্পর্কে জানানো হবে। নাকে ফোড়া হলে করণীয় হচ্ছে আপনাকে সব সময় নাকের পরিষ্কার রাখতে হবে। নাকের যত্ন নিতে হবে। নাকের যে স্থানে ফোড়া হবে ঠিক সেই স্থানে, আমরা ফোড়া হলে কি করণীয় সে সম্পর্কে যা বলেছি ঠিক সেই করণীয়গুলো আপনাকে পালন করতে হবে। তাহলে দেখবেন নাকের ফোড়া এমনি এমনি খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।আশা করি নাকে ফোড়া হলে করনীয় কি তা বুঝতে পেরেছেন।

মুখে ফোড়া হলে করণীয়

মুখে ফোড়া হলে করণীয় কি তা আপনারা জানেন? না জেনে থাকলে এখনই জেনে নিন। মুখে ফোড়া হলে করণীয় - মুখে ফোড়া হলেও আপনার জন্য করণীয় ঠিক একই থাকবে যে করণীয় গুলো আপনি ফোড়া হলে করবেন। অর্থাৎ ফোড়া হলে কি করনীয় আমরা তা উপরে আলোচনা করে এসেছি। উক্ত করণীয় গুলোই আপনি পালন করবেন সাথে সাথে মুখের যে জায়গায় ফোড়া হবে সে জায়গাটি জীবাণু নাশক দ্বারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং ফোড়া হলে কি করনীয় তা জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে ফোড়া হলে কি করনীয় ছাড়াও আরো জানতে পেরেছেন মুখে ফোড়া হলে করণীয়, নাকে ফোড়া হলে করনীয়, ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট এবং বিষ ফোড়া হলে কি করনীয় ইত্যাদি বিষয়গুলো। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের তথ্যগুলো বেশি বেশি জানতে ও পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করবেন, ধন্যবাদ।21021.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪