কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা - কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে

আপনারা কি কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা ও কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা এবং কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে। কোন রোগের জন্য কখন কেমোথেরাপি দিতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা এবং কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা - কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে

কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা

এখন আমরা কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা সে সম্পর্কে আলোচনা করব। কেমোথেরাপি হচ্ছে মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা। ক্যান্সার কোষ কেমোথেরাপির মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়ে থাকে। কেমোথেরাপি হচ্ছে ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বহুল ব্যবহৃত একটা চিকিৎসা পদ্ধতি। কেমোথেরাপি হচ্ছে এমন এক ধরনের চিকিৎসা যার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়ে থাকে ক্যান্সারের সেল গুলোকে এবং সেগুলোর বিস্তার থামানো হয়ে থাকে। তবে এক ধরনের চিকিৎসা সব ধরনের ক্যান্সারের জন্য প্রযোজ্য নয়।

আরো পড়ুনঃ গ্রামীণফোন কল লিস্ট দেখার নিয়ম

বিভিন্ন ধরনের ওষুধে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার সেল সাড়া দিয়ে থাকে। কেমোথেরাপির সবচাইতে ভালো ফলাফল পাবার জন্য ৮ ধরনের ওষুধের সমন্বয় ঘটানো হয়ে থাকে। মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসকরা কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা উন্নত করার জন্য নতুন ধরনের ওষুধের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা করে চলেছেন। কেমোথেরাপির কারণে অধিকাংশ সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু কিছু আধুনিক কেমোথেরাপি সামান্যতম সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে।

কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে

কর্কট বা ক্যান্সার রোগের রাসায়নিক চিকিৎসা বা কেমোথেরাপি হচ্ছে এক ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা। যে ব্যবস্থায় ক্যান্সার কোষ কে ধ্বংস করার জন্য ক্যান্সার রোগী এবং কর্কট রোগাক্রান্ত কোষের জন্য বিষাক্ত সাইটোটক্সিন ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে রাসায়নিক চিকিৎসা মূলক ঔষধ রয়েছে ৫০ টার ও বেশি। এগুলোর মধ্যে কোনটা কোনটা ট্যাবলেট কিংবা ক্যাপসুল হিসেবে খেতে হতে পারে। কিন্তু এই ওষুধগুলো কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তরল কিংবা স্যালাইনের সাথে বা অন্য কোন ভাবে রক্তে সরাসরি দিয়ে দেয়া হয়ে থাকে। এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে?

আরো পড়ুনঃ গরমে বাচ্চাদের কি খাওয়ানো উচিত

অর্থাৎ যার শরীর যতটা দুর্বল তার কেমোথেরাপি দিতে সময় লাগবে বেশি। এই ওষুধগুলো রক্তের সাথে মিশে শরীরের যেখানে যেখানে ক্যান্সারের কোষ গুলো আছে সেখানে সেখানে গিয়েই ধ্বংস করার চেষ্টা করে থাকে ক্যান্সারের কোষ গুলোকে। শরীরের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট পরিমাণমতো অনেক সময় কেমোথেরাপি দিতে হয়। কেমোথেরাপি সরাসরি ক্যান্সার আক্রান্ত জায়গাটাতে প্রয়োগ করতে পারলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম হবার সম্ভাবনা থাকে। ক্যান্সারের ধরনের উপর নির্ভর করে কেমোথেরাপি কতদিন চলবে সেটা। কিছু কেমোথেরাপি দিতে হয় ১৫ দিন পর পর।

কখন কেমোথেরাপি দেয়া হয়

রক্তের মাধ্যমে কেমোথেরাপির ওষুধ শরীরে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। তখন এটা সম্পূর্ণ শরীরে ছড়িয়ে যায়। যার ফলে যেখানে যেখানে ক্যান্সারের সেল পাওয়া যাবে সেখানেই ধ্বংস হয়ে যাবে। অনেক সময় দেয়া হয় স্যালাইনের মতো কেমোথেরাপি। ডাক্তাররা যখন মনে করেন যে, ক্যান্সারের সেলগুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে আছে তখন কেমোথেরাপি দেয়া হয়। যদি ক্যান্সার সনাক্ত করতে না পারে, তখন মূল টিউমার থেকে এর কিছু সেল আশেপাশের অংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে আক্রমণ করে থাকে।

ক্যান্সার সেল গুলো অনেক সময় অনেক দূর পর্যন্ত যায়। যেমন ফুসফুস কিংবা লিভারে গিয়ে ছড়ায়। অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে একজন চিকিৎসক ক্যান্সার টিউমারের এবং তার আশেপাশের টিস্যু কাটতে পারেন। ক্যান্সার সেল রেডিওথেরাপির মাধ্যমে ও ধ্বংস করা যেতে পারে। কিন্তু রেডিওথেরাপি একটা নির্দিষ্ট ছোট জায়গায় দেয়া হয়ে থাকে। তবে রেডিওথেরাপির মাধ্যমে শরীরের সুস্থ কোষগুলোও নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে থাকে।

কেমোথেরাপি কিভাবে কাজ করে

কেমোথেরাপি হচ্ছে ক্যান্সার সেলের জন্য একপ্রকার বিষ। সাইকোট অক্সাইড কেমিকাল বলা হয় এটাকে। এর কারণে ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়ে থাকে। তবে এটা মনে রাখা উচিত যে, আমাদের শরীরের ক্যান্সার ছেলের জন্য যে জিনিসটা বিষাক্ত হিসেবে দেখা হয়, সে জিনিসটা শরীরের সুস্থ স্বাভাবিক কোষ কে ও ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে। কেমোথেরাপি হচ্ছে এমন একটা জিনিস যেটা শরীরের ক্ষতিকারক ক্যান্সার গুলোকে খুঁজে খুঁজে ধ্বংস করে এবং ভালো কোষ গুলোকে কম ধ্বংস করার চেষ্টা করে।

আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক মাসিক ইন্টারনেট প্যাকেজ

চিকিৎসকরা এখন কেমোথেরাপির মাধ্যমে অনেক বেশি সাফল্য লাভ করছেন। কেননা শরীরের ক্যান্সার কোষ এবং এর আশেপাশের ভালো কোর্স গুলোকে কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিহ্নিত করে আলাদা করা যাচ্ছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কিছু কিছু কেমোথেরাপি এমনভাবে পরিবর্তনের চেষ্টা করে থাকে যেন ক্যান্সার কোষগুলোকে বাইরে থেকে আসা কোষ হিসেবে মনে করে এবং সেগুলোকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে থাকে।

শেষ কথাঃ কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা - কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে

কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা এবং কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা এবং কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা এবং কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই কেমোথেরাপি কোন রোগের চিকিৎসা এবং কেমোথেরাপি দিতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪