ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা

ফোড়া হলে কি করণীয়  

ভূমিকা

এছাড়াও আরো জানতে পারবেন প্যানক্রিয়াটাইটিস কেন হয় ও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের লক্ষণ নিয়েও আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি প্যানক্রিয়াস অপারেশন এবং প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কেও ধারণা পাবেন। যারা প্যানক্রিয়াটাইটিস এর হোমিও চিকিৎসা ও ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা সহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা ও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত পোস্টটি শুরু করি।

সূচিপত্র: ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা

• ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ কি
• প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের লক্ষণ
• ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা
• প্যানক্রিয়াস অপারেশন
• প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ কি - প্যানক্রিয়াটাইটিস কেন হয় 

পেট ব্যথার পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে প্যানক্রিয়াটাইটিস এর মতো জটিল সমস্যা। কিন্তু ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ কি কিংবা প্যানক্রিয়াটাইটিস কেন হয় তা সম্পর্কে আপনার কি কোনো ধারণা রয়েছে? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পাঠটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন যে ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ কি বা প্যানক্রিয়াটাইটিস কেন হয় তা সম্পর্কে। 

আরো পড়ুনঃ ইয়াজুজ মাজুজ এর কাহিনী - ইয়াজুজ-মাজুজ এর দেয়াল

প্যানক্রিয়াস শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ যার বাংলা নাম অগ্ন্যাশয়। মূলত এই রোগটি পেট ব্যথা থেকে শুরু হয়। অনেকে একে পেট ব্যথা ভেবে এড়িয়ে যায়। কিন্তু এর সঠিক চিকিৎসা না নিলে মৃত্যুও হতে পারে। ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস হলো যেখানে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ ও ব্যথা থাকে। এটি হয় যেসব কারণে, যাদের পিত্তনালি বা থলিতে পাথর রয়েছে তাদের এমনটা হতে পারে। এছাড়া যাদের মদ্যপান এর অভ্যাস বা রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি থাকে তাদেরও হতে পারে। ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা ও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের লক্ষণ জানতে পরবর্তী অংশ দেখুন।

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের লক্ষণ

প্যানক্রিয়াটাইটিস কি তা আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। কিন্তু অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে যে প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের লক্ষণ কি? প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের লক্ষণ গুলো হলো পেটে উপরের বা মধ্য খানের অংশে প্রচুর ব্যথা অনুভব হতে পারে। এই ব্যথা ধীরে ধীরে পিঠেও ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি যাদের মধ্যে এটি দেখা দিবে তাদের বমি হতে পারে। পাশাপাশি অনেকের রক্তচাপ হ্রাস পেতে পারে। তাই ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা দরকার। ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে নিচের পাঠটি পড়ুন।

ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা - প্যানক্রিয়াটাইটিস এর হোমিও চিকিৎসা

সব রোগের যেমন কোনো না কোনো চিকিৎসা রয়েছে তেমনি ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস এর চিকিৎসাও রয়েছে। তবে ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা সম্পর্কে অনেকেই সুস্পষ্ট ভাবে জানেন না। ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস হলে সাধারণত প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়। তাই সর্বপ্রথম ডাক্তার এর কাছে যাওয়া উচিত। ডাক্তার দেখিয়ে, আলট্রাসনোগ্রাফি করে বুঝতে পারবেন। তার পরে রক্ত পরীক্ষা করে এটি নির্ণয় করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়   

ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা হিসেবে হোমিওপ্যাথি ঔষধ দেওয়া যায়। তবে নির্দিষ্ট নাম বলা যাবে না। কেননা একেক লক্ষণ এর জন্য একেক ঔষধ হতে পারে। তবে আপনাদের সুবিধার জন্য কয়েকটি ঔষধের নাম বলছি যা দিয়ে এটি নির্মুল করা সম্ভব। যেমন NIT-ACID, THUJA OCC, DUICAMARA, SEPIA, ইত্যাদি। এর জন্য ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কেননা এটি উপসর্গের চিকিৎসা করে সারানো সম্ভব। হজমে সমস্যা হলে ডাক্তার সাপ্লিমেন্ট এর পরামর্শ দিতে পারেন। নিয়ম মেনে চললে এটি থেকে মুক্তি সম্ভব। নিশ্চয়ই ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। 

প্যানক্রিয়াস অপারেশন

প্যানক্রিয়াস মূলত ২ ধরনের হতে পারে। একটি হলো অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস ও ২য়টি হল ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস। তবে অনেকে মনে করে প্যানক্রিয়াস অপারেশন এর মাধ্যমে ছাড়া ভালো হবার আর কোন কোনো পথ নেই। এটি সম্পূর্ণ ভুল। প্যানক্রিয়াস অপারেশন তখনই করা দরকার হয় যখন পাথর থেকে হয়ে থাকে। এরুপ হলে অস্ত্রপাচার করা বাধ্যতামূলক। অন্য কারণে হলে তা ঔষধ এর মাধ্যমে ভালো করা যায়৷ তাই প্যানক্রিয়াস হলে যে অপারেশন বাধ্যতামূলক তা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।  আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে শেষের পাঠটা পড়ুন। 

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীদের কিছু খাদ্য তালিকা রয়েছে। যা খাওয়া তাদের জন্য উওম। প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় যেসব খাবার গুলো রাখা দরকার তা হলো মধু। এটি খেতে পারলে শরীরের দূর্বলতা কমে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া চিনি খেতে পারেন। এছাড়া আরো যে খাবার রাখতে পারেন তা হলো প্রোটিন যুক্ত খাবার, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার, উদ্ভিজ লিপিড, ভিটামিন। 

আরো পড়ুনঃ প্রস্রাবে এলবুমিন কমানোর উপায়

আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন এমন ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন৷ এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।