কোন ভিটামিনের অভাবে কি অসুখ হয়

আপনারা কি কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় বা কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় ও কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় সে সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয় এবং কি খেলে ঘুম বেশি হয় বা ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এবংঘুম আসে না কেন তার কারণ সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ কোন ভিটামিনের কি অসুখ হয়

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়| ঘুম আসে না কেন

আপনাদের নতুন কিছু তথ্য দেয়ার জন্য আমাদের আজকের এই কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় পোস্ট টি। এখন আমরা জানবো কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় বা ঘুম আসে না কেন তার কারণ সম্পর্কে। পটাশিয়াম হচ্ছে শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা খনিজ। যা নার্ভের বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একই সাথে একটা সামঞ্জস্য বজায় রাখে মাংসপেশীর মধ্যে এবং তরল পদার্থের সমতা ও শরীরের মধ্যে বজায় রাখে। তবে হৃৎস্পন্দনে সাহায্য করা হচ্ছে পটাশিয়ামের সব থেকে জরুরী কাজ। শরীরে যখন অত্যন্ত পরিমাণে পটাশিয়ামের অভাব হয়, ডাক্তারি পরিভাষায় তখন তাকে হাইপো কালেমিয়া বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ মনে মনে তালাক দিলে কি তালাক হয়

তবে কোন ব্যক্তির শরীরের পটাশিয়ামের স্তর যখন প্রতি লিটারের ৩.৬ মিলিমোলস কম হয়ে যায় তখনই এই পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়। বেশ কিছু সময়ই লক্ষ্য করা যায় যে, পটাশিয়ামের পরিমাণ খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ না থাকায় পটাশিয়ামের অভাব শরীরে দেখতে পাওয়া যায়। যার ফলে ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব ও হয়ে থাকে। আরো বেশ কিছু সমস্যা পটাশিয়ামের অভাবে শরীরে হতে পারে। আধুনিক গবেষণাতে এ বিষয়টা পরিষ্কার হয়েছে যে, পটাশিয়ামের অভাব হলে শরীরে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। ফলে প্রভাবিত করে ঘুমকে। অনিদ্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে।

পটাশিয়াম লেভেল কম হলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে সোডিয়াম এর স্তর বাড়লে ও এ ধরনের বিপত্তির দেখা দেয়। মাঝে মাঝে পটাশিয়াম রক্ত প্রবাহকে বিশ্রাম দিয়ে থাকে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। পটাশিয়াম, সোডিয়াম লেভেলের সমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। পটাশিয়ামের অভাব শরীরে থাকলে এনার্জি একদমই পাওয়া যায় না। মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যন্ত পরিমাণে ক্লান্তি লক্ষ্য করা যায়। শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হলে পেট ফুলে যেতে পারে বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় শরীরে পাচন ক্রিয়া ধীর গতিতে হলে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলির কিছু দেহের ভেতরে তৈরি হয়ে থাকে। আবার কিছু উপাদান প্রতিদিনের খাবার থেকেও পাওয়া যায়। যে সব ভিটামিন খাবার থেকে পাওয়া যায় তার মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হচ্ছে বি১২। মানুষের শরীরে এই ভিটামিন তৈরি হয় না। ডিএনএ এবং লাল রক্ত কোষ তৈরির ক্ষেত্রে এই ভিটামিনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। ভিটামিন বি ১২ এর অভাব হলে শরীরে ভুলে যাবার প্রবণতা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে।

এমনকি দেখা দিতে পারে রক্তশূন্যতা ও। রোগী এর ফলে দুর্বল হয়ে যায়। অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে উঠে ও ক্লান্ত হয়ে যায়, বুক ধরফর করে ওঠে। পাকিস্তানি সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। দীর্ঘদিন ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির অভাবে হতে পারে স্নায়বিক সমস্যা। যার ফলে ভারসাম্য রাখতে এবং হাঁটতে চলতে অসুবিধা হয়ে থাকে।

কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়

কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করছি। ফ্যাটের দ্রবণীয় ভিটামিন গুলো হচ্ছে ভিটামিন এ, ডি, কে, ই। অর্থাৎ শরীরে এ ধরনের ভিটামিন কিছু পরিমাণ জমা হয়ে থাকে। প্রতিদিনের রেচনকার্যের সাথে এগুলো দেহ থেকে বার হয়ে যায় না।

ভিটামিন এঃ এ ভিটামিনের অভাবে মূল সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে চোখে। এই ভিটামিনের ঘাটতিতে রাতকানা রোগ হতে পারে। এছাড়াও চোখ শুকনো হয়ে যাওয়ার মত বা জিরোপথ্যালামিয়া সমস্যা ও হয়ে থাকে। এমন কি ভিটামিন এ এর অভাবে হাইপারকেরাটোসিস নামে ত্বকের রোগ ও দেখা দিয়ে থাকে। এই অসুখের কারণে চামড়া দেখতে আঁশের মতো হয়ে যায়। ত্বক রুক্ষ এবং মোটা হয়ে যায়।

ভিটামিন ডিঃ হাড়ের ক্যালসিয়াম জমাতে ভিটামিন ডি সাহায্য করে থাকে। কম বয়সে এই ভিরামিনের অভাবে রিকেট (হার বেঁকে যাওয়া) ও বয়স বাড়লে অস্টিওমালেশিয়া (হাড়ের ক্ষয়) রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দেখা গেছে যে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি না থাকার কারণে বাচ্চাদের হারে দুর্বলতা দেখা দিয়ে থাকে। এছাড়াও ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী রাখতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ভিটামিন ডি এর।

আরো পড়ুনঃ আদা খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক

ভিটামিন কেঃ বেশি কিছু উপাদানের প্রয়োজন হয় রক্ত তঞ্চনের বা জমাট বাধার জন্য। সেই উপাদান তৈরি করতে ভিটামিন কে সাহায্য করে থাকে। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে চাই না ভিটামিন কে এর ঘাটতি হলে। এই কারণে শরীরে ক্ষত হলে রক্তপাত শুরু হয়ে যায় এবং রক্তপাত সহজে থামতে  চায় না।

ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই কোষের প্রাচীর তৈরি করতে বা সেল মেমব্রেন এ সাহায্য করে থাকে। বাচ্চাদের মধ্যে হিমলাইটিক অ্যানিমিয়া দেখা দিতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে। কিছু কিছু গবেষণায় আবার দেখা গেছে যে, ভিটামিন ই শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। আবার কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই না পেলে স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে হাত পা ঝিমঝিম, অবশ ভাব করার মত উপসর্গ প্রকাশ পাওয়া যায়।

ভিটামিন সিঃ এই ভিটামিনের অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়ে থাকে। এই অসুখের ফলে দাঁত ও মাঢ়ীর গোড়া থেকে রক্তপাত হয়ে থাকে। এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী ভিটামিন সি করে থাকে। ভিটামিন সি ক্ষতপূরণে ও সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে ভিটামিন সি এর ভূমিকা আছে।

এছাড়াও এই পোষ্টের মধ্যে দেয়া রয়েছে কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় এবং কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় ইত্যাদি সম্পর্কে।

কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়

এখন আমরা দেখব কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়। বিভিন্ন কারণে রাতকানা রোগ হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিটামিন এ এর অভাব। রেটিনল বা ভিটামিন এ এর অভাব হচ্ছে রাতকানা রোগের আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ভিটামিন এ সাধারণত পাওয়া যায় কলিজা, মাছের তেল এবং বিভিন্ন দুগ্ধ জাত খাবারের মধ্যে। এছাড়াও নিউমোনিয়া, হাম, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগের জন্য ভিটামিনের অভাব শরীরের দেখা দিয়ে থাকে। আর এইসব ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়।

কি খেলে ঘুম বেশি হয় | ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা

মানুষের শরীরের জন্য ঘুমের প্রয়োজন অপরিহার্য। ঘুম সারাদিনের ক্লান্তির ভাব মুছে দিয়ে থাকে। একজন মানুষকে সুস্থ থাকার জন্য দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুমের দরকার হয়। অনেকে আছেন যারা কিনা নিদ্রাহীনতায় দিন পার করে থাকে। আবার অনেকের মাঝ রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায়। একবার ঘুম ভাঙলে তখন এপাশ-ওপাশ করে বাকি রাতটুকু কাটাতে হয় জেগে। ঘুম ভাঙ্গার অন্যতম কারণ হচ্ছে স্ট্রেস। গুরুত্বপূর্ণ আরও একটা কারণ হচ্ছে শরীরে প্রয়োজন পরিমাণ ভিটামিনের অভাবের কারণে।

আরো পড়ুনঃ সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা

উপরের আলোকে আমরা জানিয়েছি কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। আশা করি পুরো পোস্টটি পড়লে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সেটা জানতে পারবেন। এছাড়াও ঘুমের ঘরোয়া চিকিৎসা হচ্ছে গরম দুধ। অনিদ্রা দূর করতে গরম দুধ ভীষণ উপকারী। গরম দুধ আর কি খেলে ঘুম বেশি হয় তা আমরা জানবো। ট্রিপটোফ্যান নামে এমাইনো এসিড গরম দুধে থাকে, যা কাজ করে সিরোটোনিন হিসেবে। ঘুম আনতে এই সিরোটোনিন সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও দুধে থাকে ক্যালসিয়াম, যা স্ট্রেস থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে।

শেষ কথাঃ কোন ভিটামিনের অভাবে কি অসুখ হয়

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যায় সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সে সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সে সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সে সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪